একটানা প্রায় ৩ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো । গুটিকয়েক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল-কলেজ অনলাইনে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখতে পেরেছেন যা প্রশংসনীয় । সরকার সংসদ টিভির মাধ্যমে রেকর্ডেড ক্লাশ প্রচার করছে তবে এর কার্যকারিতা প্রশ্নের উর্ধ্বে রাখা যাচ্ছে না ।
সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সীমিত আকারে সীমিত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলবে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল করতে পারবে। তবে আপাতত বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কোন অভিবাবকই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সম্পুর্ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চান না । এমনকি চালু করতে চান না প্রাইভেট টিউটরও । আর এতে করে যদি তাদের সন্তানদের এ বছর একাডেমিক পড়াশুনা বাদ দিয়ে দিতে হয় তাতেও তারা রাজি আছেন ।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ইতো মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন জুন মাস পর্যন্ত এর প্রকোব চলবে । তবে সরকারের সীমিত আকারে সবকিছু সীমিতভাবে চালু করার পর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কতটা সীমিত থাকে তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দেহ পোষন করেছেন । যেমনঃ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন এক সাক্ষাতকারে প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমত সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখীর এই সময়ে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যের বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়বে। আরও সংক্রমণের আশঙ্কা আছে।
এর আগে এক বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধারনা দিয়েছিলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে । আর তাহলে আরো ৩ মাসের বেশী সময় শীক্ষার্থীদের বাড়িতেই থাকতে হবে। একটানা ৬ মাসের বেশী সময় পড়াশুনার বাইরে থাকা শীক্ষার্থীরা পরবর্তি মাত্র ২ মাসের প্রস্তুতির সুযোগ পাবেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্যে । এর মধ্যে খুব কাছাকাছি সময়ে মোট ৪ টি বোর্ড পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে ।
এ ভাবনাটা এখন অনেক অভিবাবক ও শীক্ষার্থীদের ভাবতেই হচ্ছে আদৌ এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এ বছর শীক্ষার্থীরা তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষায় উতরে যেতে পারবেন কি না । তবে সচেতন অভিবাবক এবং শীক্ষার্থীরা কিন্তু বসে নাই । অনলাইনে ইউটিউব, ফেইজবুক থেকে যেকোন ভাবেই হোক তারা তাদের একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন এবং নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ।
তবে বিক্ষিপ্তভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই সকল একাডেমিক লেকচারগুলো আরো সুশৃঙ্খলভাবে একটি আধুনিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিবেশনা করছে পেসিবল ক্লাশরুম নামের এপ্লিকেশন ।
এসএসসি ও এইসএসসি লেবেলের ইংরেজি, গনিত ও বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয়সমূহ সম্পুর্ন কোর্স আকারে লেসন বাই লেসন একজন দক্ষ শিক্ষকের অধিন পড়ানো হচ্ছে । প্রতিদিনের ক্লাশ লেকচার ভিডিও ছাড়াও থাকছে এসাইনমেন্ট, কুইজ টেস্ট ও এমসিকিউ সমাধান । শিক্ষার্থীরা সরাসরি ডিসকাশন সেকশনে প্রশ্ন করে নিজেদের সাথে মতামত শেয়ার করতে পারছে । এছাড়াও থাকছে প্রতি সপ্তাহে ১ টি করে লাইভ ক্লাশ । যেখানে শীক্ষার্থীদের বুঝতে না পারা অংশটুকু নিয়ে শিক্ষক আরো বিস্তারিত বুঝানোর চেষ্টা করেন । আর এর সব কিছুই একেবারে বিনামূল্যে ।
শীক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং শিক্ষক হিসেবে যদি আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের শীক্ষার্থীদের জন্যে কোর্স তৈরি করতে চান তাহলে ফ্রী রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন এই ঠিকানায় - Pesible Classroom
বাড়িতে বসেই চলুক শেখা ও শেখানোর কার্যক্রম । থমকে থাকবে না কিছুই । নষ্ট হবে না শীক্ষার্থীদের একটি একাডেমিক বছর ।