বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল কর্ড লাইন প্রকল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই কর্ড লাইন চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও দ্রুত এবং কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এটি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার, যা টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া হয়ে চলে। এই দীর্ঘ রুটের কারণে ট্রেন ভ্রমণে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সড়কপথে দূরত্ব তুলনামূলক কম হলেও যানজটের কারণে সময় বেশি লাগে। কর্ড লাইন নির্মিত হলে এই দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমে ২৪৮ কিলোমিটারে নেমে আসবে এবং যাত্রার সময় বাঁচবে দেড় ঘণ্টা।
বর্তমান ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট সময় নেওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট।
নতুন রেলপথ যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হলে, বিদ্যমান রেললাইনটি মালামাল পরিবহনের জন্য উৎসর্গ করা যাবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত চারটি বিকল্প রুটের মধ্যে ‘অপশন ১এ’-কে চূড়ান্ত রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে। শ্যামপুর-নারায়ণগঞ্জ-বন্দর-সোনারগাঁও-মেঘনা-তিতাস-মুরাদনগর-দেবিদ্বার-বুড়িচং হয়ে কুমিল্লা সদর পর্যন্ত ৮০.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে থাকবে সাতটি স্টেশন।
শ্যামপুর (বর্তমান স্টেশন)
কুমিল্লা সদর (বর্তমান স্টেশন)
নতুন পাঁচটি স্টেশন: জালকুঁড়ি, সোনারগাঁও, তিতাস, দেবিদ্বার, বুড়িচং।
এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
২০.৭ কিলোমিটার উড়ালপথ।
৩.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতু।
৫৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১,৭৩৮ কোটি টাকা।
_নতুনযাত্রা ডেস্ক