করোনায় আক্রান্ত হলেও সব কার্যক্রম চলবে। দল সব সময় সক্রিয় থাকবে এবং মুঠোফোন চালু থাকবে। মাকসুদুল

By Desk Report • 31 May 2020, 00:00 • 47 views

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ দাফন ও সৎকার করা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

শনিবার বিকেলে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ২৪ মে তাঁর স্ত্রী আফরোজা খন্দকারও কোভিডে আক্রান্ত হন। সে সময় মাকসুদুল আলম ও তাঁর তিন সন্তানের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর থেকে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

বিকেলে কাউন্সিলর খোরশেদ তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘হাসবুনিল্লাহি ওয়া নিমাল ওয়াকিল। আল্লাহর ইচ্ছায় করোনা পজিটিভ হয়েছি। তাই আগামী চার দিন সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তাদের দাফন, টেলিমেডিসিন, প্লাজমা সংগ্রহ, সবজি বিতরণ, মধ্যবিত্তের জন্য ভর্তুকি মূল্যে খাবার বিক্রি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের সব কার্যক্রম চলবে। তাঁর দল সব সময় সক্রিয় থাকবে এবং তাঁর মুঠোফোন চালু থাকবে। মাকসুদুল বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে গত তিন মাস যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে আলাদা থেকে লাশ দাফন, সৎকারসহ নানা কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৬১টি লাশ দাফন ও সৎকার করেছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে কাউন্সিলর মাকসুদুল ও তাঁর দল শুক্রবার পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছেন। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতির শুরুতে তাঁর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির পর বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রে, তাঁর ওয়ার্ডবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে টেলিমেডিসিনসেবা চালু করেছেন তিনি। এ ছাড়া শুধু তাঁর ওয়ার্ড নয়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনে স্বজনেরা কেউ এগিয়ে না এলেও তিনি ও তাঁর স্বেচ্ছাসেবক দল এগিয়ে আসছে। তাঁর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি বিনা মূল্যে সবজি বিতরণ কার্যক্রমও শুরু করেছেন এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

Share
Facebook WhatsApp Email

More from narayanganjcity