নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িতে শ্রমিকদের হামলা

By স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ • 24 May 2020, 00:00 • 15 views

নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে শ্রমিকেরা। হামলায় সিভিল সার্জনের গাড়িচালক আহত হয়েছেন। শ্রমিকেরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় অবস্থিত রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ফকির নিটওয়্যারে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোয়া ১১টার দিকে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ফকির নিটওয়্যার কারখানা পরিদর্শনে যান। এ সময় কারখানার শ্রমিকেরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কারখানায় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সিভিল সার্জনের গাড়ির চালক সুরজ্জামানের মাথা ফেটে যায় এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ির চালক জালাল মিয়া আহত হন। শ্রমিকেরা জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সিভিল সার্জন তাঁর গাড়ি নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

 

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ওই পোশাক কারখানায় ১০ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কারখানায় কেন করোনা রোগী বাড়ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানা হচ্ছে কি না সেটি দেখার জন্য তাঁরা পরিদর্শনে যান। কিন্তু হঠাৎ করে পোশাক শ্রমিকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তাঁর ও জাহিদুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুর করেন। তিনি কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও জাহিদুল ইসলাম আটকা পড়ে আছেন।

জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বেতন-বোনাসের দাবিতে ওই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেখানে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সামনে পড়ে গেলে তাঁরা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কারখানার কর্মকর্তাদের মোবাইলফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় কথা সম্ভব হয়নি।

Share
Facebook WhatsApp Email

More from narayanganjcity