পারিবারিক কলহের জের ধরে মা ও ২ মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

By • 19 Sep 2019, 00:00 • 12 views

সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে একটি ফ্ল্যাটে মা ও দুই কন্যা শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আরো এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার আনোয়ার সাহেবের বাড়ির ৬তলা ভবনের ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। 


নিহতরা হল- সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার বাসিন্দা সুমনের স্ত্রী নাজমিন (২৮), দুই মেয়ে নুসরাত (à§®) ও খাদিজা (২)। আহত হয়েছে নাজমিনের বোনের মেয়ে সুমাইয়া (১২)। ঘটনার পর থেকেই  à¦¨à¦¿à¦¹à¦¤ নাজমিনের ভগ্নিপতি ও আহত সুমাইয়ার বাবা আব্বাস পলাতক রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে নিহত নাজমিনের বোনের স্বামী আব্বাস এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ঢাকা থেকে ফরেনসিক বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাজমিনের স্বামী সুমন সানাড়পাড় এলাকায় জোনাকি পাম্প স্টেশনের চাকরী করে। ডিউটি শেষে সকালে সুমন বাসায় ফিরে দেখে স্ত্রী ও দুই কন্যার লাশ পড়ে আছে। পরে তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পড়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল এবং ওই বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়নি।


নিহতের ছোট ভাই হাসান জানান, আমার বড় বোনের স্বামী আব্বাস প্রায়ই মাদক সেবন করে এসে সকলকে মারধর করতো। বুধবার রাতে আমার ভাগ্নি আব্বাসের মেয়ে পালিয়ে আমার ছোটবোন নাজমিনের বাড়িতে আসে। তাকে নিতে এসেই সে আমার বোন নাজমিন ও তার দুই মেয়েকে গলাকেটে হত্যা করেছে। এছাড়া তার নিজের মেয়েকেও আহত করে।

নিহতের শ্বশুর নিজাম জানায়, আমার ছেলে সুমন নাজনিনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করার পর থেকে এই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। আমরা মাঝে মধ্যে এ বাসায় আসা যাওয়া করতাম। কিন্তু কখনো তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অমিল দেখিনি। সকাল ১০টার দিকে আমার ছেলে পেট্রোল পাম্প থেকে নাইট ডিউটি করে বাসায় এসে তার স্ত্রী সন্তানদের লাশ পরে থাকতে দেখে আমাদেরকে খবর দেয়। আমরা এ ঘটনার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছি। 


দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ তিনটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আজ সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। 

আমাদের ধারণা এঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারেন নিহত নাজমিনের বোনের স্বামী আব্বাস। আব্বাসের সাথে তার স্ত্রীর বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে আব্বাসের শ্যালিকার বাসায় তার স্ত্রী চলে আসে। সে একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। 

বৃহস্পতিবার সকালে সে কারখানায় চলে যায়। শ্যালিকার সঙ্গে আলাপকালে কোন বিরোধের জের ধরেই শ্যালিকা ও তার দুই মেয়েকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। আর আব্বাস তার প্রতিবন্ধী মেয়েকেও জখম করেছে। ইতোমধ্যেই আব্বাসকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

Share
Facebook WhatsApp Email

More from narayanganjcity